YouTube Transcript:
ধনীদেরও ঈশ্বর দরকার_ কারণ ধনীদের ঈশ্বর ছাড়া সবই আছে | জাভেদ হুসেন | পর্ব ০১/০৪
Skip watching entire videos - get the full transcript, search for keywords, and copy with one click.
Share:
Video Transcript
View:
বাংলাদেশের দু ধরনের লোক আছে পাগল আর ছাগল
এই দুই দলের লোকেরই লেখালেখি করে দুদিন
আগেও যারা আমাদের এখানকার ব্যবসায়ী ছিল
সামিট গ্রুপ তারা এখন আমাদেরকে উল্টো
হুমকি দেয় যে আমি তোমার দেশের লোক না আমি
সিঙ্গাপুরের নাগরিক আমি তোমার নামে মামলা
করব কেন তুমি আমার টাকা আটকাচ্ছ এখনো
ধনীরা যখনই দরকার সিঙ্গাপুরের নাগরিক হয়ে
যেতে পারে যখন দরকার তারা যেকোনো দেশের
নাগরিক হয়ে যেতে পারে কয়েক কোটি টাকা
হয়ে গেলে পৃথিবীর যেকোনো দেশের নাগরিক
হয়ে যাওয়া যায় ধনীদের ঈশ্বর দরকার কারণ
ধনীদের ঈশ্বর ছাড়া সবই আছে যে মানুষগুলো
প্রাণ হারায় যুদ্ধে
গণঅভ্যুত্থানে সেখানে প্রত্যেকটা প্রাণ
পৃথিবীর বাকি সমস্ত প্রাণের সমান একটা
মৃত্যুর সঙ্গে একটা জগতের মৃত্যু ঘটে যায়
সাহিত্য হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে কখনো
রক্তের দাগ শুকায় না পাহাড়পুরে বেহুলার
বাসর ভীমের জাঙ্গাল পাশে নওগার দিকে এরকম
একই জিনিস যেগুলো আমাদের ভূমিতেই আছে
আমাদের হতো তৈরি করা এগুলো সেই জিনিসগুলো
এখন আমরা মাঠে খুঁড়ে খুঁড়ে বের করি এবং
আমাদের এই পূর্বপুরুষের তৈরি করা সেই
ভগ্নস্তুপ গুলো কেন ছিল কি কারণে তৈরি
হয়েছিল আমরা এখন আর জানিনা তো মানুষ যখন
ইতিহাস চর্চা করে তখন একটা বিস্ময়কর
ব্যাপার ঘটে কি যে আমরা নিজেরা যা করেছি
এককালে আমরা নিজেরাই সেগুলোকে এখন আর
বুঝতে পারছি না আমি ইতিহাস চর্চা করি মানে
যা আমাদের নিজেদের হাতে তৈরি তাকে আমরা
নিজেরাই এখন আর বুঝতে পারি না আমরা
সেগুলোকে বুঝতে
চাই সেই জায়গা থেকে যদি একই সঙ্গে ভেবে
দেখেন যে আমাদের এই ভারতবর্ষের
ইতিহাস ভারতীয় উপমহাদেশের
ইতিহাস এই ইতিহাসকেও এখন যেন এখন আমরা
বুঝতে পারি না আমরা যখন নিজের দিকে তাকাই
তখন আমরা বুঝতে পারি না যে এই দেশ কোথায়
ছিল 70 বছর আগে 78 বছর আগে 100 বছর আগে
তখন কি যারা এই দেশের বাসিন্দা ছিলেন এই
ভূমির বাসিন্দা ছিলেন তারা কি জানতেন যে
একসময় বাংলাদেশ নামে আলাদা একটা দেশ হবে
অথবা এখন আমরা যারা আছি আমরা কি জানি যে
একসময় আমাদের বাবারা আমাদের পিতা-মাহু
যারা ছিলেন তারা চাইলেই এখান থেকে
কাশ্মীরে চলে যেতে পারতেন লাহোর চলে যেতে
পারতেন ভাগ হয়ে গেল ভাগ হওয়ার ফলে
সুবিধা হয়েছে যারা ধনী তারা আগেও যেমন
পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় যেতে পারছেন এখনো
তারা দরিদ্র মানুষগুলোর ঝামেলা হয়ে গেছে
যেগুলো নোয়াখালীর একটা লোক আগে লাহোর চলে
যেত কাজের খোঁজে চলে যেত পেশোয়ার প্রচুর
পরিমাণ লোক নোয়াখালী থেকে যেতেন
রেঙ্গুনে শরৎচন্দ্রের গল্পের মধ্যে পাবেন
বিভূতিভূষণের গল্পের মধ্যে স্মৃতি কথার
মধ্যে ভ্রমণ কাহিনীর মধ্যে এগুলো উল্লেখ
পাবেন ওই মানুষগুলোর কিন্তু মাথায় বাড়ি
পড়লো তারা এই যে ছোট ছোট ছোট ছোট দেশ
নামে কতগুলো ভাগ হয়ে গেল এই ভাগের
চৌহুদ্দির মধ্যে তারা আটকা পড়ে গেলেন
তারা এখন আর কোথাও যেতে পারেন না একটা
ছোট্ট জায়গার মধ্যেই তাদেরকে আটকে পড়ে
থাকতে হয় ধনীদের সমস্যা নেই তারা আগেও
যেকোনো ভাবে যেকোনো সময় পুরো পৃথিবী
তাদের করতলের মত রাখা ছিল এখনো এই পৃথিবী
তাদের করতলেই যে রাখা আছে সেটা বুঝতে হলে
তো আপনাদেরকে আর কষ্ট করতে হয় না আপনারা
জানেন যে দুদিন আগেও যারা আমাদের এখানকার
ব্যবসায়ী ছিল সামিট গ্রুপ তারা এখন
আমাদেরকে উল্টো হুমকি দেয় যে আমি তোমার
দেশের লোক না আমি সিঙ্গাপুরের নাগরিক আমি
তোমার নামে মামলা করবো কেন তুমি আমার টাকা
আটকাচ্ছ ওই টাকাগুলো কিন্তু আমাদের কাছ
থেকে মেরে দেয়া সে কিন্তু যখনই সামলা
হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে সে সিঙ্গাপুরের
নাগরিক হয়ে গেল এখন সে আন্তর্জাতিক আদালত
দিয়ে আমাকে আপনাকে হুমকি দেয় যে আমার
টাকা কেন তুমি আটকেছো আমি তো তোমার দেশের
লোক না এখনো ধনীরা যখনই দরকার সিঙ্গাপুরের
নাগরিক হয়ে যেতে পারে যখন দরকার তারা
যেকোনো দেশের নাগরিক হয়ে যেতে পারে কয়েক
কোটি টাকা হয়ে গেলে পৃথিবীর যেকোনো দেশের
নাগরিক হয়ে যাওয়া যায় আর যদি আপনার
টাকা না থাকে আপনি যদি ধনী না হন তাহলে
তাহলে আপনি ভূমন্ত সাগর পার হয়ে ইউরোপে
ঢুকবার পথে কোন একটা ছোট্ট ট্রলারের মধ্যে
গাদাগাদি করে সমুদ্র পার হয়ে অন্য একটা
দেশে যাওয়ার পথে ঠিক যেমন করে বদ্ধ একটা
কৌটার মধ্যে ব্যাংকে ঢুকিয়ে বদ্ধ করে
ঝাঁকিয়ে মারা হয় সেরকম ভাবে আপনি অসহায়
ভাবে মৃত্যুবরণ করতে
বাধ্য ফলে যখন আমরা দেশভা নিয়ে আলোচনা
করছি অথবা যখন আমরা যেকোনো ইতিহাস নিয়ে
আলোচনা করি তখন আসলে এই প্রশ্নটা মাথায়
রাখা উচিত যে এই ইতিহাসটা আসলে কার
দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা দেখব কার দৃষ্টিভঙ্গি
থেকে আমরা দেখব আর যখন আমরা বলছি যে
দেশভাগের কথা গাঙ্গার গল্প সাহিত্যে
দেশভাগ সেখানে আরেকটা প্রশ্ন কিন্তু আসে
ইতিহাসের মধ্যে তো প্রচুর তথ্য আছে উপাত্ত
আছে এই তথ্য উপাত্ত বাদ দিয়ে আমরা কেন
সাহিত্যের মধ্যে দেশভাগ খুঁজতে গেলাম এটাও
তো একটা ব্যাপার না সাহিত্য তো কি মানে
লেখালেখি যারা করে বাংলাদেশের দু ধরনের
লোক আছে পাগল আর ছাগল এই দুই দলের লোকেরই
লেখালেখি করে পাগল হচ্ছে যারা যশের পাগল
বলতে বলতেন যে ঈশ্বরের দরকার দুই ধরনের
লোকের ধনীদের ঈশ্বর দরকার কারণ ধনীদের
ঈশ্বর ছাড়া সবই আছে তো ঈশ্বর আর থাকবে না
কেন তাদের এটাও দরকার আর দরিদ্রদের ঈশ্বর
দরকার কারণ তাদের ঈশ্বর ছাড়া আর কিচ্ছু
নাই এখন ওই যে দুই ধরনের লোক লেখালেখি করে
বললাম না পাগল আর ছাগল পাগলরা হচ্ছে
যশাকাঙ্ক্ষী যশ চাই তাদের সবই তো তাদের
হয়ে গেছে টাকা আছে বাড়ি আছে গাড়ি আছে
তারা সিঙ্গাপুরের নাগরিক কানাডার নাগরিক
এখন তাদের সবই আছে একটু লেখক খ্যাতি হলেও
মন্দ হয় এখন লেখক খ্যাতির জন্য তারা লেখে
তারা হচ্ছে যশের পাগল আরো কিছু লোক আছে
যারা নিতান্তই ছাপোষা মানুষ এরা চাকরি
থেকে মুক্তি পায় না সপ্তাহে ছ দিন তারা
কাজ করে দিনে 10 ঘন্টা 12 ঘন্টা করে কাজ
করে কিন্তু তারপরেও তারা এমন ছাগল
লেখালেখি না করে থাকতে পারে আমি দ্বিতীয়
গ্রুপের মধ্যে আমি নিজে পড়ি ফলে তাদের
ব্যাপারে আমি ভালো জানি ছাগল দলের মধ্যে
আমিও পড়ি তো এই পাগল আর ছাগলের মধ্যে
দিয়ে কেন আপনি দেশভাগের মত একটা ঐতিহাসিক
ঘটনাকে পাগল অথবা ছাগল এই দুই দুই দলের
কোন এক দলের কাছ থেকে আপনি কেন দেশভাগ
নিয়ে শুনতে আসেন কারণ আমার মতে একটা আছে
ইতিহাস একাডেমিতে যখন ঢুকে যায় যে
একাডেমী বাইরের লোককে আমাকে রাস্তাটাও
ব্যবহার করতে দিতে রাজি
না সেই
একাডেমী মানুষের জীবনকে সংখ্যা বানিয়ে
ফেলে নিতান্ত সংখ্যা তারা তর্কাতর্কি করবে
তিন লাখ না 30 লাখ যেন তিন লাখ লোক হত্যা
করলে অপরাধটা কম হয়ে যায় কারণ এখানে এটা
একটা সংখ্যা মাত্র তার কাছে ফলে তিন লাখ
না 30 লাখের তর্ক করে সে কি বোঝাতে চায়
আল্লাহ
আলম তিন লাখ লোক হত্যা করলে কি অপরাধ কম
হয়ে গেল গল্পটা হচ্ছে কিরকম যে জর্জ বুশ
একবার বলছেন যে আমি ইরাক আক্রমণ করব সমস্ত
কিছু ধ্বংস করে দেব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে শুরু করে যা যা আছে সব ধ্বংস করে দেব
এবং এবং বাগদাদের জাদুঘরের সামনে একটা
সাইকেল সাইকেলের পাম্প ছেড়ে দেবো লোকজন
সবাই বলে কেন কেন প্রেসিডেন্ট আপনি পাম্প
ছাড়বেন কেন এর জন্যই ছাড়বো যে দুই লাখ
লোক মেরে ফেলবো এটা তোমাদের মাথায় আসলো
না সাইকেলের পাম্প কেন ছাড়বো এটা নিয়ে
তোমাদের প্রশ্ন তো সাইকেলের পাম্প
ছাড়াটাই হচ্ছে একাডেমির কাছে
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার দুই লাখ লোক যে মেরে
ফেলবে এটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না কেন
সাইকেলের পাম্প ছেড়ে দেবেন জর্জ বুশ এটা
নিয়ে একাডেমি খুবই দুশ্চিন্তিত থাকে
কিন্তু ভেবে দেখুন প্রত্যেকটা জীবন যে
মানুষ গুলো প্রাণ হারায় যুদ্ধে
গণঅভ্যুত্থানে নিজের মুক্তির দাবি করতে
গিয়ে যারা প্রাণ হারায় সেখানে
প্রত্যেকটা প্রাণ পৃথিবীর বাকি সমস্ত
প্রাণের সমান কোন প্রাণের মূল্য পৃথিবীতে
অন্য কোন প্রাণের চাইতে কম মূল্যবান নয়
বলতেন না যে একটা মৃত্যুর সঙ্গে পুরো একটা
পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় প্রত্যেকটা
প্রাণের সঙ্গে একটা মৃত্যুর সঙ্গে একটা
পৃথিবীর মৃত্যু ঘটে এই যে একটা প্রাণ যে
প্রাণের মূল্য লক্ষ লক্ষ প্রাণের যেকোনো
প্রাণের সমান এই মূল্যটা প্রথাগত ইতিহাস
বুঝতে পারে না প্রথাগত বিদ্যায়তনিক
কাঠামো কঠিন একটা শব্দ বললাম না
বিদ্যায়তনিক এর মানে স্পষ্টভাবে বলতে
পারাও তো একটা ব্যাপার না বিদ্যায়তনিক
এটার ইংরেজিটা কি জানেন তো একাডেমিক অনেক
সহজ না আচ্ছা মানে আমাদের বাংলা চর্চা
করতে গিয়ে আমরা গন্ডগোলে পড়ে যাই যে
আমরা কি চর্চা করি বুঝতেই পারছেন যে আমরা
এখনো পরিভাষাগুলো দাঁড় করাতে পারলাম না
না দাঁড় করানোর কারণও আছে আপনি যদি আপনার
পেটের খাবারটা কোত্থেকে আসবে এটা যদি
আপনার নিজের এখতিয়ারে না থাকে নিজের
অধিকারে না থাকে আপনি কি ভাষায় কথা বলবেন
সেটাও আপনার অধিকারে থাকবে না তখন আপনার
মনে হবে যে কিভাবে কোন ভাষা জানলে পেটের
খাবারটা আগে আসবে এতদিন ইংরেজি ছিল ইদানিং
কোরিয়ান শিখছে সবাই চাইনিজও শিখছে বাঙালি
শিখলে কোন লাভ নেই বাংলা শিখলে ফলে কেন
আপনার বাংলায় ইতিহাস চর্চা হবে কেন আপনার
বাংলা বিদ্যায়নিকের যে ইংরেজি হচ্ছে
একাডেমিক অথবা একাডেমিক যে আসলে
বিদ্যায়ের নিকের চাইতে সহজ তার কারণ তো
একটাই আমি যে ভাতটা খাই যে খাবারটা জোগাড়
করি ওই খাবার জোগাড়ের অধিকারটা
এক্সিয়ারটা আমার নিজের হাতে নেই বলে আমার
ভাষাও আমার নিজের হাতে নেই খুব সোজা হিসাব
তো যাক ইতিহাস
একাডেমী মানুষের প্রাণকে একটা সংখ্যা
বানিয়ে ফেলে যে প্রাণ যে মৃত্যুর সঙ্গে
একটা একটা পরিবার ধ্বংস হয়ে যায় এ
মৃত্যুর সঙ্গে একটা মৃত্যুর সঙ্গে একটা
জগতের মৃত্যু ঘটে যায় এইটা প্রথাগত
কাঠামোগত ইতিহাস ধারণ করতে পারে না সে দুই
লাখ লোকের মৃত্যুর চাইতে জর্জ বুশের
সাইকেলের পাম্প ছাড়াকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
বলে মনে করে কারণ কারণ জর্জ বুশ কেন
সাইকেলের পাম্প ছাড়লেন এটা নিয়ে গবেষণা
করতে পারলে পিএইচডি হওয়ার সম্ভাবনা আছে
তাই না অথবা জার্নালে একটা লেখা ছাপা হলে
অধ্যাপক হওয়ার পথে এক ধাপে এগুলোর সুবিধা
আছে ফলে তার কাছে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ না
তার কাছে প্রাণ মানে একটা সংখ্যা মৃত্যু
মানে একটা সংখ্যা আর কিছু নয় কিন্তু
মানুষ তো বেঁচে থাকে জীবিত থাকে যে
মানুষটা মারা গেলেন যে মানুষটা
এখনো পেটের ভেতর পায়ের ভেতর গুলি নিয়ে
কাতরাচ্ছেন সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা
পাবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে
বেড়াচ্ছেন তার
বেদনা
তার নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা
ইতিমধ্যেই কি একটা সংখ্যা হয়ে গেছে
বোধহয় ইতিমধ্যেই একটা সংখ্যা হয়ে গেছে
ফলে আপনাদের কি মনে হয় না যে মাত্র
কয়েকদিন আগে যেটা ছিল একটা দুর্দান্ত
মানুষের প্রচন্ড রকমের অভ্যুত্থান
বিস্ফোরণ এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সেটা
কতগুলো পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছে ফলে এগুলোকে
ধারণ করবে কে এই বেদনাকে ধারণ করবে কে এই
প্রাণকে এই প্রাণের আহতিকে ওই
পরিবারগুলোর সর্বস্ব
নেই হয়ে যাওয়াকে কে ধারণ করবে সংখ্যা
পত্রিকা শুষ্ক ইতিহাস না ওগুলোকে ধারণ
করতে পারে একমাত্র
সাহিত্য সাহিত্য হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে
কখনো রক্তের দাগ শুকায় না ওইখানে রক্তের
দাগ চিরকাল তাজা থাকে যে কারণে কার্ল
মার্কস
বারবার তার ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ইউরোপের
ইতিহাসকে বোঝানোর ক্ষেত্রে যতটা বেশি যতটা
প্রবল পরিমাণে ব্রিটিশ মিউজিয়াম
লাইব্রেরিতে বসে তথ্য ইতিহাসের উপাত্ত
খুঁজে বেরিয়েছেন সমানভাবে তিনি গুরুত্ব
দিয়েছেন বালজাকের লেখাকে বালজাকের
উপন্যাসকে তার লেখার মধ্যে বারবার ফিরতে
এসেছে এর কথা ডক্টর হাউসের কথা বারবার
ফিরে এসেছে বাইবেল থেকে বারবার ফিরে এসেছে
গেটে থেকে বারবার ফিরে এসেছে ভার্জিল থেকে
সাহিত্যের উপাদান গুলো
এইজন্য আমাদেরকে ফিরে আসতে হয় সাহিত্যের
কাছে ফিরে আসতে হয় সেই জায়গায় যেখানে
কখনো রক্তের দাগ শুকায় না যেখানে মানুষ
শুধুমাত্র সংখ্যা হয়ে যায় না এখন আমরা
এই জায়গাটা থেকে কিন্তু একটা চমৎকার
প্রশ্ন তৈরি করতে পারি যে আমাদের
এখানে বারবার যে আমরা মুক্তির জন্য লড়াই
করেছি আমাদের এই জনগোষ্ঠীর
মানুষেরা তাদের সেই লড়াইগুলো আমাদের
সাহিত্যে কতটা জীবন্তভাবে টিকে রাখতে
পেরেছি আমরা এ প্রশ্ন কিন্তু আমাদেরকে
করতে হবে এই প্রশ্ন আমাদের উত্তর পাওয়া
দরকার কেন দরকার দরকার এই জন্য যে মার্কস
বলতে না গুরুত্বপূর্ণ কথা কথা যে ভাষা
হচ্ছে চেতনার শরীর আপনার ভাষায় যদি আপনার
আকাঙ্ক্ষা
ধারণ আপনি করতে না পারেন আপনার গল্পে
আপনার ইতিহাসে আপনার উপন্যাসে আপনার গানে
যদি আপনার ইতিহাসকে আপনি ধারণ করতে না
পারেন তার মানে আপনার চেতনার মধ্যে আপনি
আপনার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারেননি
সুতরাং আপনার গল্পে আপনার উপন্যাসে আপনি
ইতিহাস কেমন ভাবে উঠে এসেছে এটা শুধুমাত্র
গল্প বা উপন্যাসের ব্যাপার নয় এটা
শুধুমাত্র সাহিত্যের ব্যাপার নয় এটা
হচ্ছে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষাকে যে
আকাঙ্ক্ষাকে বুকের মধ্যে নিয়ে আপনি
বারবার নিজেকে মুক্ত করবার জন্য লড়াই
করেছেন সেই মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে আপনি
আপনার চৈতন্যের মধ্যে কতটা ধারণ করতে
পেরেছেন তার প্রমাণ পাওয়া যাবে আপনার
গল্পে আপনার সাহিত্যে আপনার গানের মধ্যে
সুতরাং গল্প বা উপন্যাস শুধু গল্প উপন্যাস
নয় একটা জাতি তার আকাঙ্ক্ষাকে কতটা তার
চৈতন্য ধারণ করতে পেরেছে সেটার বোঝাপড়ার
জায়গা তার সাহিত্য ফলে আমরা যখন দেশভাগের
সাহিত্যের কথা বলতে আসছি দাঙ্গার গল্প
বলতে আসছি এই জিনিসটা আমি দেখিনি আগে
মেয়ে চমৎকার একটা ব্যাপার কোন একজন এই
বইটা পুরোপুরি উল্টে পাল্টে দেখেছে সাদাত
হাসান মান্টুর কালো সীমানা নামের বইটা এটা
ভেবেই আমার ভালো লাগছে কারণ মান্টো প্রায়
ক্লাসিকের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এবং
ক্লাসিকের সংজ্ঞা আপনারা জানেন তো
ক্লাসিকের সংজ্ঞা হলো যে বইয়ের কথা সবাই
বলে কিন্তু কেউ পড়ে
না তো ওইটা হচ্ছে ক্লাসিক ওই হিসেবে
রবীন্দ্রনাথ ক্লাসিক মনে হয় নাকি মানট তো
ক্লাসিক হয়েই গেছেন না এটা ভুল বললাম এই
বইটার কিন্তু প্রায় ছয় সাতটা না জানি আরো
বেশি এডিশন হয়ে গেছে আর প্রকাশকরা এতই কম
রয়ালিটি দেয় যে আমরা আগ্রহ থাকে না কয়টা
এডিশন হলো ওটা জানার তো যাক মানটো আমাদের
আলোচনায় আসবেন ইন্তেজার হোসেন নাম জানেন
ইন্তেজহার হোসাইনের আমাদের আলোচনায় আসবেন
গুলজার গুলজারের নাম বোধহয় অনেকেই
সবচেয়ে বেশি না হিন্দি গান শোনাবে হিন্দি
গান বলে কিছু নেই তো মানে যেটাকে উর্দু
গান বলি এটা উর্দু তো বলা মুশকিল কারণ এর
যে ভাষাটা আসলে ছিল সেটা হিন্দিও না
উর্দুও না হিন্দুস্তানিও না হিন্দুস্তানি
বলতে ইংরেজ না জায়গা থেকে সিরিজও জানে না
অনেকে হ্যাঁ অনেকেই জানে না এখন যাক আমার
এমনিতে দুর্নাম আছে ফেসবুকে এগুলো যায় তো
তলে অনেকে মন্তব্য করে আমি কিন্তু মন
দিয়েও পড়ি কিছু কিছু লোক খুব প্রশংসা করে
যারা প্রশংসা করে আমি স্ক্রল টেনে দেখেছি
তারা আমার আলোচনা তো আমি দুই ঘন্টার কম
জেনারেল থামে না আপনারা ভয় পাবেন না তো
আমি তো অনেকক্ষণ ধরে বলি দেখি যারাই
প্রচুর প্রশংসা করছে তারা সবাই আলোচনার
শুরুর পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে
প্রশংসা গুলো করেছে তার মানে কেউই
আলোচনাটা শুনিনি ফলে যে যত প্রশংসা করে
আমি বুঝি যে ও সবচেয়ে কম শুনেছে কিছু
কিছু লোক আবার অনেকক্ষণ শোনে তারা আবার
বলে যে আসল কথা কই
মুশকিল হচ্ছে আসল কথা কি আমি নিজেও জানিনা
আসল কথাটা কই এখন ওরা ভাবি যে যেহেতু
পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের যুগ পাঁচ
থেকে সাত মিনিটের পাওয়ারপয়েন্ট
প্রেজেন্টেশনে কয়েকশো কোটি টাকার
প্রজেক্ট পাওয়া যায় আর আমি এক টাকাও
পাওয়া যাবে না দুই ঘন্টা ধরে বকবক করে
যাচ্ছি তোদের কাছে খুব বিরক্ত লাগে যে এত
কথা কিসের আসল কথা কই এত কথা ঘুরায়ে বলেন
কেন এক কথা বারবার বলেন কেন তাদেরকে আমার
মনে হয় যে শ্রী রামকৃষ্ণ উনি গল্প করতেন
তো বাঙালির মধ্যে শ্রেষ্ঠ রসিক শ্রী
রামকৃষ্ণ তো উনার একজন ভাগ্নে ছিল বলতেন
হৃদে
হৃদয়নাথ উনি বলল মামা তুমি তোমার
গল্পগুলো একই গল্প বারবার বলো কেন একই
গল্প একেক জায়গায় তুমি বারবার বলতে থাকো
এই গল্প শ্রী রামকৃষ্ণ আবার মুখটুক খারাপ
ছিল একটু শ্রী রামকৃষ্ণ বলল শালা আমার
গল্প আমি বলবো একবার বলবো 100 বার বলবো
তোর কি রে
তো আমিও বলি আমার কথা তো আমি বলবো একবার
বলবো 100 বার বলবো বারবার বলবো যার শোনার
ইচ্ছে সে শুনুক না শুনলে কেউ বাধাও তো
দিচ্ছে না তাই না এখন মান্টুর কথা আসবে
আসবে ইন্তেজার হোসেনের কথা আসবে গুলজারের
কথা কেন আসবে কারণ
দাঙ্গার গল্প বলতে গিয়ে আমরা পাঞ্জাবি
গল্পের প্রসঙ্গ টানতে পারতাম আমরা বাংলা
গল্পের প্রসঙ্গ টানতে পারতাম আমি টানবো
বটে আমরা টানতে পারি পারতাম একই সঙ্গে আরো
কয়েক ভাষা দক্ষিণী ভাষাতেও দেশভাগ নিয়ে
গল্প লেখা হয়েছে কৃষ্ণচন্দ্র তো আসবেনই
কিন্তু আমি বেশি গুরুত্বটা দিচ্ছি উর্দু
গল্পের মধ্যে উর্দু সাহিত্যের মধ্যে কেন
কারণ এই দেশভাগ নিয়ে উর্দু সাহিত্যের
একটা আলাদা শাখাই তৈরি হয়ে গেছে
Click on any text or timestamp to jump to that moment in the video
Share:
Most transcripts ready in under 5 seconds
One-Click Copy125+ LanguagesSearch ContentJump to Timestamps
Paste YouTube URL
Enter any YouTube video link to get the full transcript
Transcript Extraction Form
Most transcripts ready in under 5 seconds
Get Our Chrome Extension
Get transcripts instantly without leaving YouTube. Install our Chrome extension for one-click access to any video's transcript directly on the watch page.
Works with YouTube, Coursera, Udemy and more educational platforms
Get Instant Transcripts: Just Edit the Domain in Your Address Bar!
YouTube
←
→
↻
https://www.youtube.com/watch?v=UF8uR6Z6KLc
YoutubeToText
←
→
↻
https://youtubetotext.net/watch?v=UF8uR6Z6KLc